বিশ্ব শান্তি সূচকে (গ্লোবাল পিস ইনডেক্সে-জিপিআই) গত বছরের তুলনায় ৯ ধাপ পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। ১৬৩টি দেশের ওপর ওই সূচক নির্ধারণ করা হয়। এতে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৩তম, অর্জন করেছে ২.০৮৪ পয়েন্ট। গত বছর ২.০৩৫ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৪তম। সূচকে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তির সবচেয়ে বড় অবনমন ঘটেছে বাংলাদেশে।
এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উন্নতি ও সন্ত্রাসের প্রভাব থাকায় তা অভ্যন্তরীণ সংঘাতের দ্রুত পতন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৭ লাখ মানুষ সৃষ্টি করেছে এক বিরূপ প্রতিক্রিয়া। বুধবার লন্ডনে প্রকাশিত হয়েছে সর্বশেষ গ্লোবাল পিস ইনডেক্স।
এতে বলা হয়, সার্বিক সূচকে বাংলাদেশ ৯ ধাপ নেমে গেলেও দক্ষিণ এশিয়ায় ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও নেপালকে পেছনে রেখে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। গত বছর দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ছিল তৃতীয় অবস্থানে। এবার ভুটানের অর্জন ১.৫৪৫, শ্রীলঙ্কা ১.৯৫৪ ও নেপাল ২.০৫৩ পয়েন্ট। তা সত্ত্বেও ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। এবার ভারতের অর্জন ২.৫০৪, পাকিস্তান ৩.০৭৯ ও আফগানিস্তান ৩.৫৮৫ পয়েন্ট। ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিস প্রস্তুত করেছে এবারের ১২তম গ্লোবাল পিস ইনডেক্স বা বিশ্ব শান্তির সূচক। এটি সিডনিভিত্তিক একটি অলাভজনক নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। বলা হয়েছে, সূচকে ১৫ ধাপ পিছিয়ে পড়েছে মিয়ানমার। তাদের অবস্থান ১২২তম। এতে আরো বলা হয়েছে, গত বছর বিশ্ব ছিল অপেক্ষাকৃত কম শান্তিপূর্ণ।
দীর্ঘদিন ধরে যে বৈশ্বিক যুদ্ধ বা সংঘাত চলছে তা রয়েছে অনিষ্পন্ন অবস্থায়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্য শক্তিধররা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখোমুখি হয়েছে। সূচক অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে মোট ৯২টি দেশের সূচকের অবনমন ঘটেছে। উন্নতি ঘটেছে ৭১টি দেশের। বিশ্বের সবচেয়ে কম শান্তির দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সিরিয়া, আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান, ইরাক ও সোমালিয়াকে। অন্যদিকে আইসল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, পর্তুগাল ও ডেনমার্ককে চিহ্নিত করা হয়েছে সবচেয়ে শান্তির দেশ হিসেবে। এতে বলা হয়েছে, গত ১০ বছর ধরে যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে। এই বৃদ্ধি শতকরা ২৬৪ ভাগ পর্যন্ত।